December 23, 2024, 5:19 am

১ জুন থেকে চালু হচ্ছে কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসাঃ

Reporter Name
  • Update Time : Thursday, May 28, 2020,
  • 362 Time View

 

কুমিল্লা প্রতিনিধি ঃঃ-

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (কুমেক) ১ জুন থেকে চালু হচ্ছে করোনা রোগীর চিকিৎসা। এরইমধ্যে ১০টি আইসিও বেডসহ ১৫৪টি বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। এর ফলে উপকৃত হবে কুমিল্লা অঞ্চলের ৬০ লাখ মানুষ। তেমনটি জানিয়েছেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা.মো.মুজিবুর রহমান। ইতিমধ্যে ১০টি আইসিও বেডসহ করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য ১৫৪টি বেড সম্পূর্ন প্রস্তুত করা হয়েছে। ফলে উপকৃত হবে কুমিল্লা অঞ্চলের ৬০ লক্ষ মানুষ। তিনি আজ ২৭ মে বুধবার বেলা ১২ টায় একান্ত সাক্ষাতকারে এ কথা বলেন।

কুমেক পরিচালক ডা. মুজিব বলেন, ১৯৯২ সালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর গত ২৮ বছরেও বৃহত্তর কুমিল্লা ও বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের অন্যতম শীর্ষ এই স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানটিতে আইসিও স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু আমি পরিচালক হিসেবে যোগদানের পরই এই আইসিও স্থাপনের বিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করি। শুধু মাত্র এই আইসিও’র কারণে প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ এখানে মারা যাচ্ছে। কারণ আইসিও উপযোগী রোগীদের বাধ্য হয়ে আমরা বাহিরে পাঠিয়ে দেই। ফলে ঢাকায় যাওয়ার আগেই রাস্তায়ই অনেক রোগী মারা যায়। কুমিল্লা সদর আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব আকম বাহা উদ্দিন বাহার মহোদয়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অবশেষে আমরা ১০ শয্যা বিশিষ্ট আইসিও বেড স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।

করোনা রোগীদের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বর্তমানে কতটুকু প্রস্তুত জানতে চাইলে কুমেক পরিচালক জানান,করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যে আমরা ৩৭ জন চিকিৎসক এবং ৬৩ জন নার্স নিয়োগ দিয়েছি। ১০টি আইসিও বেডসহ ১৫৪টি বেড শুধু করোনা রোগীদের জন্য প্রস্তুত করেছি। আমরা উদ্ধোধন করার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও স্থানীয় এমপি মহোদয়ের কাছে সময় চেয়েছি। আমরা সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে আগামী ১ জুন সোমবার নির্ধারণ করেছি। অতিথিদ্বয় সময় দিলে আশা করি আগামী ১ জুন আমরা উদ্ধোধন করব ইনশাল্লাহ।
কুমেক পরিচালক বলেন, আইসিও’র ১০ বেডসহ করোনার ১৫৪টি বেড যখন চালু হবে তখন সরাসরি কুমিল্লার ৬০ লক্ষ মানুষ এখানে উপকৃত হবে। যে কোন প্রয়োজনে সেবা নিতে পারবে চাঁদপুর, ব্রাক্ষনবাড়িয়া, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। ইতিমধ্যে (বর্তমানে) কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০ জন আর কুমেক হাসপাতালের অধীন ফোর্টিজ হাসপাতালে আছে ৮জন এই ২৮ জন করোনা রোগী এখন আমাদের চিকিৎসাধীন রয়েছে।

করোনার মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে থেকে ভাইরাসটি সংক্রমন হয় কি না জানতে চাইলে ডা, মুজিবুররহমান বলেন, আসলে আমাদের দেশে বর্তমানে যেটা হচেছ এটা এক দিকে যেমন কুসংস্কার অপর দিকে অমানবিক। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি যখন মারা যায় তখন তার শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক ভাবেই বন্ধ হয়ে যায়। ফলে তার কাছ থেকে সংক্রমন হওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না। যদি হাসপাতালে মারা যায় আমরা এক ঘন্টার মধ্যে প্রথমে তাকে পলিথিন দিয়ে পরে কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে ফেলি। ফলে কোন ভাবেই এই মৃত ব্যক্তিদের মাধ্যমে আক্রান্ত হওয়ার নূন্যতম কোন সুযোগ থাকে না। যারা করোনায় মৃতদের লাশ দাফন কাফনে বাঁধা প্রদান করছে তারা কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে অন্যায় করছে। এটা এমন একটি অন্যায় এবং অপরাধ যা ক্ষমার অযোগ্য আমার দৃষ্টিতে। কারণ, আপনি, আমি কিংবা আমাদের স্বজনরাও যে কোন সময় করোনায় আক্রান্ত হতে পারে। তখন যদি কেউ দাফন কাফনে বাাঁধা দেয় তখন নিজের কাছে কেমন লাগবে। এই বোধটি আমাদের মধ্যে জাগ্রত করতে হবে।

তিনি আরোও বলেন, করোনা রোগীদের অবহেলা না করে তাদের সাহস দিন, উৎসাহ দিন। নিয়ম মেনে চলতে সহায়তা করুন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
tmnews71